কেবল ধর্মীয় দিক নয়, রোজা পালন করা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায়ও প্রমাণিত। রমজানে আমাদের খাবারের রুটিনে অনেকটা পরিবর্তন আসে। সেহরি, ইফতার ও ডিনার— এই তিন সময় আমরা যে খাবার গ্রহণ করে থাকি, সেই খাবার থেকেই আমাদের দৈনিক ক্যালরি, ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে হয়।

রমজানে পানীয়

গরমে রোজায় দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এ সময় একটি সাধারণ সমস্যা হলো পিপাসাবোধ হওয়া। এই পিপাসার কারণে আমরা ইফতারে একসঙ্গে অনেক বেশি শরবত অথবা পানি পান করে থাকি, যা ঠিক নয়। এতে আমাদের পাকস্থলীতে চাপ পড়ে এবং আমাদের অস্বস্তিবোধ হতে পারে।

ইফতারে সাধারণত দুই থেকে তিন গ্লাসের বেশি পানীয় পান না করাই ভালো। এরপর ঘুমানোর আগপর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি খাওয়া উচিত।

সারাদিন পানি খাওয়া যাবে না এই ভেবে সেহরিতে অতিরিক্ত পানি পান করাও উচিত নয়। সেহরিতে সাধারণত দুই গ্লাস পানি পান করাই যথেষ্ট। তবে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত মোট ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে তা আমাদের ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে পারে।

সতর্কতা

ইফতারে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত শরবত অথবা কৃত্রিম জুস খাওয়া উচিত নয়।
যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখে ভুগছেন, তারা রোজার আগে তাদের রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখবেন।

যারা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, হজমজনিত সমস্যা ইত্যাদিতে ভুগছেন, তারা একজন পুষ্টিবিদ অথবা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবার পরিকল্পনা করবেন।